“জি বাংলার ‘আনন্দী’ বন্ধ হচ্ছে না, বরং নতুন সময়সূচিতে ফিরছে—এর আবেগ, আকর্ষণ, ভক্তি ও প্রত্যাশার এক বিস্তৃত রূপকথা”।—🔥 শিরোনাম: “‘আনন্দী’ – বন্ধ নয়, বরং ফিরছে নতুন ম্যাজিক নিয়ে!”—পর্ব ১: গুঞ্জনের অন্ধকারে প্রথম আলোজি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “আনন্দী” জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সমস্ত জীবনের গল্প, সুখ–দুঃখ, প্রেম–ভ্রান্তি, পারিবারিক বন্ধন আর সেই আলো জ্বলছে ছোটপর্দায়। কিন্তু বলাবলি শুরু হলো—‘আনন্দী’ আর দেখা যাবে না! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে! অনেকেই শোকার্ত, ক্ষুব্ধ, অবাক। সোশ্যাল মিডিয়া, ফ্যান ক্লাব, ছোটপর্দার গলির রুম — সব জায়গায় একটাই প্রশ্ন: “আনন্দী শেষ হয়ে যাচ্ছে?”এই গুজব ছড়িয়ে পড়েই ভক্তদের মন ভারাক্রান্ত। ঋত্বিক-এর কন্ঠে যখন ফ্যানরা বলতো “অন্বেষা তুমি না থাকলে আমি কী করব?”, তখন সেটা কেবল সংলাপ হয়ে যায়নি—তার নিজেরা জড়িয়ে পড়েছিল সেই প্রেমানুভূতির সঙ্গে। ফেসবুকে, ইনস্টাগ্রামে, টুইটারে #SaveAnandi #BringBackAnandi র্ইজ করেছিল হাজারো পোস্ট। অনেকে নিজের জীবনকে ‘আনন্দী’–এর সাথে যদি জড়িয়ে দেনা, সেটাই ছিল তাঁদের প্রকৃত কথা।এদিকে, ‘আনন্দী’–এর পারিবারিক গল্পের ছন্দ, ঋত্বিক অন্বেষার দুর্ধর্ষ অভিনয়ে প্রতিটি দৃশ্য যেন বরণ করে নেয় দর্শকদের হৃদয়ে। বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রতিদান হিসেবে কিছু সিন ফ্যান ভিডিওতে চোখ ফেরায় না, আবার কেউ কোথায় কোনো সূত্র থেকে খবর জানতে চায়, কেন যেন মন খারাপ—ভালোবাসার ছোট্ট একটা গল্প বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে?কিন্তু, যখন দৃশ্যমান আশা একটুও দেখা যাচ্ছিল না, সোশ্যাল মিডিয়ায় তখন রীতিমতো আতঙ্ক আস্ত লাগলো—“আনন্দী বন্ধ হলে হয়তো এবার সেই না পারিবারিক বন্ধন, সেই একই গল্প নতুন কেউ বুঝিয়ে পাবে?” — এলো এ ধরনের বিস্তৃত প্রশ্ন বিন্দু বিন্দুভাবে।—পর্ব ২: সংবাদ, গুঞ্জন আর সমালোচনার ঝড়সেই খবর আলোড়ন সৃষ্টি করলো। অভিনেতা–অভিনেত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব ভীতি প্রকাশ করল। পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, কাস্টিং‑টিমের কেউ কেউ নিজেও সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানালো, “এই গুজব ভিত্তিহীন। আমরা কাজ করছি গাড়ির গতিতে। পরিকল্পনায় পরিবর্তন তো হয়, কিন্তু বন্ধ হলে তা হয় না।’”কিন্তু কথাগুলোকে কেউ বিশ্বাস না করলেও গুজব ছড়িয়ে যায় চিরহরিৎ পাখির ডানায়। ‘অনেক কিছু অনিশ্চিত’, ‘আতঙ্ক করছে প্রোডাকশন হাউজ’, ‘দি রিয়েল(reason behind shut?) বলা হচ্ছে টিআরপি ফ্রেন্ডলি হলেও, তার রেটিং নির্ঘাত কমেছে সাম্প্রতিক পর্বগুলোতে’ — আবার কেউ বলছে, “হঠাৎ করেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পাতা ভেঙে গেছে নাটকের গল্পে, সেটাই বড় সংকেত।” পুরো নাট্য–প্রেমী দর্শক, সমালোচক, বিশ্লেষক—সবাই ডুবেছে এক ধরণের তথ্যের সঙ্কটে।টিভি নিউজ চ্যানেলে বিষয়টি উঠে আসে। অনেক বিশ্লেষক টিআরপি নিয়ে আলোচনা করছে—“টা‑রেটিং কমেছে কী, বেড়েছে কি? কত শতাংশ?” আবার কেউ বলছে, ট্রেড রাইটিং ভালো হলেও অন্য একটি ধারাবাহিকের সময়সূচি সরানোয় সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এসবের মাঝেই সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ছে ভক্তদের মনে। কেউ কেউ লেখে, “অঁনি আর দেখব না,” কেউ আবার লিখল, “আনন্দী ছাড়া জীবন নেই।”…—যুগল উদ্যোগে আর গানের “চুপ করে যাও আবেলা হারিয়ে যাব” রব না থাকায় ফ্যাক্ট হিসেবে লেখা হচ্ছে এটি চারপাশে। গুঞ্জনের গরজ নিয়ে শেষপর্যন্ত ‘জি বাংলা’কে কিছু বলতে বাধ্য হতে হলো।—পর্ব ৩: জি বাংলার ঘোষণা – বন্ধ নয়, নতুন সময়সূচি!এর মধ্যেই, আসল খবর! ‘জি বাংলা’–এর পক্ষ থেকে একটি ভিডিও টুইট করা হলো। সেই ভিডিওতে দেখা গেল—চ্যানেলের শীর্ষ প্রোডাকশন টিমকেই উপস্থিত আছেন, মুখে অ্যানকারিং টোনে ভেসে উঠে জাত‑সংঘর্ষমূলক ভাষা। কথা হলো বিস্তারিত—“‘আনন্দী’ বন্ধ হচ্ছে না। বরঞ্চ নতুন সময়সূচিতে আপনাদের মাঝে ফিরছে। এটা একটি রিস্কোকর্মী সিদ্ধান্ত—যা আপনাদের বলা হয়েছিল না, তা হল ‘কোর টিআরপি’ ঘড়ির মতোই গণনা হয়। সম্প্রচার সময় ঠিকমতো কেন পরিবর্তন করা হলো? মূলত দুইটি কারণে।”কথা হলো ২টি মূল কথা:১) সময়-লভ্যতা ও দর্শক ব্যবস্থানির্দিষ্ট একটি সময়ের ভিডিও‑রেট হয় ততক্ষণ দর্শকের মনোযোগে। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি উৎপাদন বেশি দর্শকের জন্য মানানসই নয়। নতুন সময় নির্বাচিত হয়েছে তার প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে, যেখানে পূর্ণতা নিয়ে ‘বয়সি গ্রুপ’ (১৮‑৪০) বেশি সক্রিয় এবং ছোট বাচ্চা‑বৃদ্ধ বিভাগও যথেষ্ট দেখা করতে পারে।২) চ্যানেল‑এর অন্যান্য শো ও কনটেন্ট শতাংশকে সামঞ্জস্যে আনাজি বাংলার বিশেষ ‘ইভিনিং অঞ্চলের’ একাধিক ধারাবাহিক একসাথে চলেছে। তাদের মাঝে প্রতিযোগিতা আছে—“কে দেখেন, কবে?”, টিআরপি স্কিল, নিউজফ্ল্যাশ, রিয়্যালিটি শো, সব মিলিয়ে চ্যানেল টাইম ব্যালান্স সাজাতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোথাও না কোথাও সামঞ্জস্য রাখতে হয়েছে। তাই ‘আনন্দী’–এর শিডিউল পরিবর্তন করা হলো—তা বন্ধ না করে, বরঞ্চ নতুন এক রেইমিংয়ের আর্কে। একটি সাহসী পরিকল্পনা যা বড় ঝুঁকি, কিন্তু ভক্ত‑পরিবারের ভালোবাসা সাপেক্ষে ফলপ্রসূ হবে।এই কথা বলেছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। আর এটাই গেটে ‘অতিরিক্ত গুঞ্জন’–এর উত্তর। বন্ধ নয়, না ছাড়বে, বরঞ্চ ‘বদলে আসছে’—একমাত্র মন্ত্র।—পর্ব ৪: ভক্তদের অভিব্যক্তি – নিঃশ্বাসহীন আনন্দএই ঘোষণায় ভক্তদের মুখে হাসি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ফিরে এলো শুভেচ্ছা। এর কিছু উদাহরণ–> “হ্যাঁ! আনন্দ আবার ফিরে আসছে। ভাইয়া ও অনির গল্প বন্ধ হতে পারে না।”“নতুন সময়, নতুন চমক—I’ll be there with popcorn!”“আমি ভেবেছিলাম একবার ‘আনন্দী’ চলে গেলে কি রইল জীবনে? এবার জানা গেল না, আবার আসবে।”অনেকেই লিখছে, “স্যার, এখন থেকে প্রতি রাতের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা—কবে শুরু? আর কতদিনে শুরু হবে? সবটা চাই জানার!” কেউ বলছে, “নতুন সময় চার্টের শীর্ষে উঠবে—আমি বিশ্বাস করি।” কেউ আবার প্ল্যান করে ফেলেছে, “মায়ের সঙ্গে এবারে বিকেল ৬টায় দেখা হবে!”।সব মিলিয়ে জানালা খুলে গেছে আনন্দের নতুন কর্নারে। সেই ছোট্ট বাড়ির গল্প, বাথরুমে গুডমর্নিং সেলফি, ঋত্বিক অন্বেষার পরিকল্পিত লুক, অনুপ্রাণিত ডায়লগ—সবিই ফিরে আসছে সবাইকে সতেক করে।—পর্ব ৫: নতুন সূচি, নতুন কাহিনি – প্রত্যাশার আশাতো, ঠিক কোথায় অবস্থান?জি বাংলা–এর এই ঘোষণায় বলা হয়েছে, আগের রাতের ৮.৩০–এ যে ‘আনন্দী’ চলত, এখন সেটি সরানো হচ্ছে বিকেল ৬.৩০ বা সাড়ে ৬টায়—যোগাযোগ করার সুবিধার্থে। কেন এই সময়? কিছু স্মার্ট আনালাইসিস দেওয়া হয়–—বিকেল ৬টে থেকে রাত ৮টা হ’ল ‘ফ্যামিলি টাইম’। তখন সারা পরিবার মিলে বসে TV দেখার অভ্যাস তৈরি হয়।বড়দের काम থেকে ফেরা শুরু হয়, পরের বাচ্চা–ছোটদের পড়ার বিরতির সময়।রাত ৮.৩০–এ অনেকসময় বড়দের বিনোদনের বিকল্পে অন্য চ্যানেল, বা রিয়ালিটি শো চলে যায়; তাই ‘আনন্দী’–এর দর্শকবৃন্দও দ্বিধায় পড়ে যেতে পারে। এ সময়မှာ জি বাংলা সাহস করে এই ছোটু সময়ে সেট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কথা হলো, নতুন কনটেন্ট কোনো বাঁকে নয় বরঞ্চ জানালার সামনে।আর ডি-টেল করতে পারছে, ‘প্রথম সপ্তাহে? ডাবল এপিসোড?’, ‘উচ্চ টিআরপি গ্যারান্টি?’, ‘অতিরিক্ত স্পেশাল গেস্ট’।ভক্তদের মন জুড়ে এখন নানা প্রশ্ন– “ডাবল বা সিঙ্গেল এপিসোড?”, “খানিফুটের গল্পে কী হবে?”, “বসু পরিবার আবার কি নতুন মোড়?”, “ঋত্বিক অন্বেষা—নতুন অবতার?” এসব নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে যায়।—পর্ব ৬: রোমাঞ্চের প্রস্তুতি – কষ্ট আর স্বপ্নের মিশ্রণ“আনন্দী”–র এই নতুন সময়সূচি শুধুমাত্র ঘণ্টা বেঁধে দেওয়া সময় নয়— এটা একটি অভিযাত্রা। বর্তমানে শো–র রেটিং ও জনপ্রিয়তা একটি দেশের সীমাই ছাড়িয়েছে—বাংলাদেশে, নিসর্গায়, ইউটিউবে, ফেসবুক গ্রুপে। গুগল–ট্রেন্ড অনুযায়ী, ‘Anandi Zee Bangla’–এর সার্চ রেটিং এখনো আগের অবস্থানেই আছে—দেখে নেওয়ার ব্যাপার। এখনও পর্যন্ত এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিকগুলোর অন্যতম। আর এখন, নতুন সময়সূচিতে যাওয়ায় তা আরও বিস্তৃতি পাবে।সব মিলিয়ে যা ঘটছে—বাংলা ফ্যামিলির রুটিনে একটা পরিবর্তন আসছে এবং ‘আনন্দী’ সেই CHANGE–এর প্রধান কাহিনিও হতে পারলে, তা অবশ্যই যে আর শুধু নাটক নয়—এটা একটা Fenomenon হয়ে উঠছে।এতে যদি নতুন চরিত্র, বা প্রাক্তন চরিত্রদের রিস্টার্ট মনে হয় তবে নতুন রোমাঞ্চ আসবে দর্শকের, আবার পুরনো ভালোলাগার স্পন্দনও ফিরে আসবে।সেকেলে পদ্ধতি—‘দেখা শেষ না হলে মনের ‘ফিড’ পূর্ণ হয় না’—এই সময়সূচিতে ‘আনন্দী’ যেন প্রতিদিন প্রতীক্ষিত না হলেও মনে থাকছে, কেননা ‘আজ ৬.৩০’; যেন সেটা একটি সব কিছুর আগে জায়গা দখল করে যাচ্ছে।এসব ঠিক রেখে ‘জি বাংলা’–এর নায়কদের বক্তব্য—> “আমরা জানি, ‘আনন্দী’ শুধু একটি ধারাবাহিক নয়—একটি পরিপূর্ণ আবেগ, একটা যাবতীয় উচ্ছ্বাস, একটা উল্লাস-বেদনাময় সংবেদন। তাই এটিকে বন্ধ করতে চাইনি; বরঞ্চ নতুনভাবে ফিরছে যেন আপনাদের সাদরে। সাহায্য করতে এটা একটা পরিকল্পনায় রূপ নিয়েছে।”সেই দৃশ্যটিতে অন্বেষা—যার চোখে খুশির ঝিলিক; যার প্রতিটি ক্যামেরা ক্লোজ‑আপে মন খুঁজে পায় সত্যিকারের আবেগ—গুলি দেখা যায়। মুখে বলা হয়, “আমরা আবার ফিরে আসলাম — আপনাদের জন্য।” আর ঋত্বিক—যিনি ছোট্ট চোখে ছোট্ট হাসিতে এক মুহূর্তে সমস্ত শ্রোতার সম্মিলিত শুভকামনা তুলে নিয়েছেন—বলছেন, “আগে যেমন আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, এবারও থাকবো। আবার নতুন করে।”—পর্ব ৭: সম্ভাবনার নতুন সোপান – কোন দিক থেকে দেখা যায়?১১ দফার টিআরপি–এর আশায় ‘জি বাংলা’ সমস্ত রিসোর্স সাজিয়ে রেখেছে—প্লট টুইস্ট: হবে কি না? হ্যাঁ! কিছু সাসপেন্স আছে — ‘কেমন করে ঝড়ে উঠে আসব পোড়ানো হার্ট’, ‘ব্যাথা আবার ফিরে আসবে’, ‘মোড়ের মোড়ের চমক’।নতুন চরিত্র অ্যাডিশন: কিছু মুখ সবচেয়ে বেশি চাহিদা অনুযায়ী যোগ হবে— হয়তো ঋত্বিকের বন্ধুর মতো, কোনো রোম্যান্টিক থার্ড পারসন; বা অন্বেষার এক প্রাক্তন কলেজ সাথি, সার্ভিস বয়, বা পার্শ্বচরিত্র হিসেবে মায়ের বন্ধু; সব কিছু ফুল–পারলেৃ টুইস্ট–এর খাতিরে।গুড ওয়ান‑টাইমভিশন কনসেপ্ট (‘Medley Episodes’): বিশেষ ইভেন্ট দিবসে — হ্যালোইন ‘থিম, গুজরাট ফেস্ট, পুজোর বিশেষ পর্ব’? হতে পারে এই রূপে একটা বিশেষ এপিসোড।যদি ঠিকমতো নির্দেশনা দেয়া হয়, তাও ‘টাইম শিফট’ এর পরেও দর্শকদের ঘাড় চেপে ধরে রাখার ক্ষমতা থাকে। বিশেষ করে, যদি সেই নতুন সময়ে কাস্টের কয়েকজন জানিয়েছেন, “আমরা নিজেই চিন্তায় বলছি—এই নতুন সময়ে আবার ভেন্টিলেটর মতো ফোকাস আসবে”। সুতরাং এক রকম সহজ মনে হলেও পরিকল্পনা খুবই বাস্তব।—পর্ব ৮: দর্শক মনের গৌরব ও প্রত্যাশার ঢেউ“আনন্দী”–এর দর্শকরা একাই একটা ফ্যাঙ্কলাব। গ্রুপে রুটিন থেকে ভাগ হবে না—কালকের পর্ব পোস্ট করে সবার প্রতিক্রিয়া ভালো বা খারাপ—এতে নিত্য আলোচনার বিষয়। মানে, ‘অন্য পথে যা টেলিভিশনে-কোনো অভিনেতা, কোনো বাকি რეჟিশন, তার সকল ফুকাদা—সামনে আগুন উঠে যাবে!সেই নির্দিষ্ট সময়মূহ মন সংযম দেয় না। একটা মনেই থাকে—“এই প্রথম কতজন একদিনে সেই ৬.৩০ সময়ের অপেক্ষায় ছিলো?”। তার যেমন মার্কেট প্ল্যান ভালো হয়, তারógica ভালো হয়।আর এখন কী ঘটছে?বিকেল ৬.৩০–এর সময়মতো বাংলা ফ্যামিলির সবাই বসে চায়ের কাপ সাথে নিয়ে অপেক্ষা করবার মতো করে আদ্যোপান্ত রাতের চমকগুলো।কাজের পর আবার বাসায় ফিরে ‘এক কাপ চা–নান–আলাপ’ এসব আলাপে ‘আনন্দী’–এর প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ে নিজস্ব অনুভূতি—“ওটা জানো? একটা লাইফলесс করার মতো… সেইসময়টা হয়তো রিল্যাক্সিং; তখন গল্প জমে ওঠে।”প্রিয় চরিত্র একটি ডিসক্লেমারের পথেই উঠে আসে—“অন্বেষা মাথায় হাত ভয় পেয়ে যায়, ঋত্বিক খুঁজে দেখে মিষ্টি চোখে বলছে—‘সব ঠিক আছে’”; দৃশ্যের সমস্ত শক্তি ও নামনিষ্ঠার এক আচমকা মিশ্রণ।সব মিলিয়ে এই নতুন সময়ে যদিও বিরুদ্ধমুখী দর্শকদের আগ্রহ একটু বাড়বে—“এই সময় আমরা আর বেশি people–অলস? ”, “কোন TPS বার্তা দেখবে?”, “কোন ডিফক? অ্যান্ড স্টার্ট হবে জয়?” …সব কিছু মিলে একটা খেলা পছন্দ।—পর্ব ৯: চ্যালেঞ্জসমূহ ও প্রয়োজনীয় সাপোর্টনতুন সময়সূচিতে যাওয়াটা মোটেই সহজ নয়। কিছু খণ্ডবিচ্ছিন্ন প্রভাব থাকবে:1. টিআরপি ড্রপ–এফেক্ট – পরীক্ষা সময় অনুযায়ী “রাত ৮টায় ধারণার মধ্যে বহু জনপ্রিয় লোক বসে; লোড্ডে।”2. ভেনিং ফ্যামিলি – শুরু করার সময় ৬.৩০–এ নাটক দেখে என்–সকল বাচ্চা, গৃহিণী, বয়স্ক সবাই একই পর্বে বসেনা।3. অনলাইں প্রভাব – রেকর্ড না বা ইউটিউব রিলোড হলে, দর্শক আবার টাইম ডিস অগ্রসর করে থাকেন।তাই Channellers নির্নয় করেছে—দুই (double) এপিসোডs — শুরু বা শেষ সপ্তাহে এক ঘণ্টা।আর্ক মাইক্রো ক্যাম্পেইন ‘আনন্দী’ নামক; কোনো এটা পরে—‘এখন পাশে পা বসিয়ে ঘরে বসে আরাম করো, ৬.৩০–এ আনন্দ ভাগ করো’।ডিজিটাল কমপেনসেশন – ইউটিউব, জি বাংলা অ্যাপ–এ সেই একই পর্ব আপলোড হবে ৮.৩০–৯.০০ টার্গেটেড সময়ে, যাতে সব দর্শক পান।ফ্যান–ইন–কন্নেক্ট – এপ্রিল, মেই অথবা জুন মাসে Special Live session–এ দেখা হবে অভিনেতাদের সঙ্গে।এইসব সমন্বিতে আশা করা হচ্ছে—নতুন সময় ও নতুন বিন্যাস পুরো কার্যকর থাকবে।—পর্ব ১০: একটি শেয়ার্ড জয়ন্ত সাফল্যের গল্প‘আনন্দী’–এর প্রেমের ট্র্যাজিক, নাট্যসার, পারিবারিক ঐক্য, মানবিকতার ছবি আজো বাংলা বিনোদন–পরিবেশে এক পরিচয়। আজকের দিনে আমরা দেখছি—কোনও একটা ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়া যায় না—কারণ বন্ধ মানেই থাকা কি?বরঞ্চ নতুন সময়–নতুন উদ্দেশ্য– নতুন বিন্যাস সব পাশাপাশি চলে।পরিচালক/ডিরেক্টর/চ্যানেল/প্রোডাকশন—যারা এক তথ্য নিয়ে মনে নিয়ে তৈরি করেছেন, ‘close knit audience‑based entertainment’—তাদের জন্য ‘টাইম শেডিউল’ চূড়ান্ত গুরুত্বপূর্ণ।দর্শকরা পরিবর্তিত সেই সময়কে শুধুমাত্র গ্রহন করবেন না—বরঞ্চ নিজস্ব অভিজ্ঞতা দিয়ে নতুন HP রিপোর্ট করবে।মিথস্ক্রিয়া হবে ফেসবুক, গ্রুপগুলি, সোশ্যাল মিডিয়া–এ—“আজকের পর্বটাতে একটা tearjerker আসলো; লেটেস্ট প্লট–এ রীতিমতো মোড়; এখন পারবো শেষ পর্যন্ত না; কিন্তু দুষ্টু ভবিসময়ে অপেক্ষা করবো।”এতে অন্তত বলা যায়—“আনন্দী–এর পথ বন্ধ হয় না; বরঞ্চ সোজা হোক বা বাঁকিয়েই, নতুন বিন্দুতে নিয়ে যায়।” নতুন সময়ের ভিডিও শুনে দর্শক বলে, “আরও প্রত্যাশা এসেছে! অতএব, আমরা ভালোবাসব ইচ্ছে–মত; আশা করব রোজ সন্ধ্যা ৬.৩০; ভিডিওর পরে আর দশটি ভাবনা নিয়ে বসে থাকব।”—পর্ব ১১: সমাপ্তি…কিন্তু এটি আসলে শুরুআজ, মন দিয়ে ভাবলে, “আনন্দী বন্ধ হলো না—বরঞ্চ অবটল ভ্রমণ আরও দীর্ঘ হলো; আরও ভিত্তি পেল। নতুন সময়–এর মূল ঠিক ইন্টারেস্টিং।”এই রোমাঞ্চ যেন ‘চার্জ’–এ। আর সেই ‘চার্জ’–এ নতুন দিন– নতুন সন্ধ্যা– নতুন সময় পেল। এক বড় অনুভূতি, বাবা–মা– বোন– ভাই, ছেলে–মেয়ে সবাই মিলবে ছোটটিন্টো বাড়ির গল্পে; আবার অল্প সময়ের মাড়িতে হাসি–দু:খ–রোমাঞ্চের মনোরম পর্বে—প্রিয় মিনিটে নতুন উৎসব।তাই আজ বলি—> ‘আনন্দী বন্ধ হয়নি, বরঞ্চ পাল্টে নতুন সময় নিয়ে ফিরেছে—আর এই জ্বালা আপনাদের জন্যই।’বলুন তো—কি মনে হলো? আলোড়ন? অপেক্ষা? হাসি? আর কী! 🎬💥এবারও প্রস্তুত হয়ে যান আগের মতোই—ভালবাসার ছোট পর্দার ‘আনন্দী’–কে, নতুন সময়, নতুন বিন্দু, নতুন স্বাদের সঙ্গে উপভোগ করার জন্য!
GIPHY App Key not set. Please check settings