আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। চলছে সিবিআই তদন্ত। এবার এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে মুড়ল আর জি কর চত্বর। আর জি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রবেশপথের এক পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছ’জন জওয়ান। তাঁদের কয়েক জনের হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে কলকাতা পুলিশের পনেরো জনের একটি দল। প্রবেশপথ ছেড়ে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকলে জায়গায় জায়গায় চোখে পড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) সিবিআই তল্লাশি শুরু হওয়ায় গোটা চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। পাশাপাশি এ দিন সকাল থেকে হাসপাতাল জুড়ে ছিল কলকাতা পুলিশের কর্মী, র্যাফ। ফলে দিনভর আর জি করে অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের শব্দের বদলে কানে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারী বুটের আওয়াজ। নিরাপত্তার গণ্ডি পেরিয়ে কেউ একটু এ দিক-ও দিক যেতে গেলেও কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। পড়ুয়া থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়, চিকিৎসক— কেউই প্রশ্নবাণের হাত থেকে রেহাই পাননি। কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, আবার কাউকে পরিচয়পত্র দেখার পরে তবেই যেতে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতি খালি চোখে দেখলে বোঝা দায় যে এটি শহরের কোনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, না কি সেনাবাহিনীর ‘বেস ক্যাম্প’!
জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে হাসপাতালের ভিতরে তিনটি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ফলে স্টোর রুম চত্বর থেকে শুরু করে গোটা চত্বরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। সংলগ্ন রাস্তাগুলিতেও রাখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
এ প্রসঙ্গে ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি থাকা পরিজনকে দেখতে হাসপাতালে আসা আসমিনা খাতুন বলেন, ‘‘স্টোর ভবনের পাশে প্রতিদিন আমরা জল আনতে যাই। কিন্তু আজ ও দিকে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। ভয়ে আর ওমুখো হইনি।’’ অন্যদিকে এ দিন জরুরি বিভাগে এসে চমকে গিয়েছিলেন উল্টোডাঙার বাসিন্দা এক তরুণী। বললেন, ‘‘প্রথমে হাসপাতালে (RG Kar Incident) ঢুকেই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, আবার বোধ হয় কোনও ঝামেলা হয়েছে। পরে শুনলাম, সিবিআই এসেছে। হাসপাতাল তো নয়, দেখে যুদ্ধক্ষেত্র মনে হচ্ছে। ভয়েই অর্ধেক রোগ সেরে যাচ্ছে।’’
GIPHY App Key not set. Please check settings