ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল দুর্গাপুর সফরে একটি বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি প্রথমবারের মতো কুশীল প্রাসঙ্গিক ধর্মীয় অভিব্যক্তি হিসেবে বলেন – “জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা” ।
এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যাওয়ায় তা মাত্র একটি ধর্মীয় উক্তি নয়, এককথায় এটি রাজনীতিক গোড়াপত্তনের এক স্বনিবিড় ইঙ্গিত, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে ওঠে। মোদী এক দিকে সাংস্কৃতিক বন্ধনের কথা বলছেন, অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অর্থনৈতিক ও বেসামরিক উন্নয়নের প্রাথমিক ভূমিকা তুলে ধরেন – ₹৫৪০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের ঘোষণা দিয়ে । এর মধ্য দিয়ে তিনি একটি সকারাত্মক রাজনীতি চালু করেন: “ভিকশিত বাংলা” গড়ে তুলতে কেন্দ্র সকলরকম সমর্থন দেবে।
এই রক্তরঞ্জিত আবেগপ্রবণ উক্তি ও প্রকল্প ঘোষণাগুলোকে ঘিরে তত্ক্ষণাত রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পাল্টা আক্রমণ করে বলে, মোদীর সাংস্কৃতিক ব্যবহার “ভারতীয় ঐতিহ্য”-এর জায়গা দখল করছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমজনতার স্বাতন্ত্র্য ও বাংলা ভাষার প্রতি কেন্দ্রের দাঙ্গিবাজি পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলে: “পশ্চিমবঙ্গ কি ভারতের অংশ নয়?” । তিনি আরও বলেন, “বাংলা ভাষায় আরও বেশি কথা বলব” – এক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রুদ্ধশ্বাস প্রতিক্রিয়া রাজনীতিতে রাজনৈতিক আবেগের উন্মেষ ঘটায়।
তবে মোদীর অনুরাগী ও সমর্থকরা ক্লিয়ার বার্তা রূপে দেখছেন: “শিল্প-সংস্কৃতি” ও “অধুনিক উন্নয়ন”—দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় করে একটি নতুন রাজ্য ঢাল গড়তে চাইছে কেন্দ্রীয় গোষ্ঠী। তবে TMC-র মতে এই প্রকল্প ও উপস্থাপনাগুলো বিজ্ঞাপিত উদ্দেশ্য নয়; বরং ভোট কলঙ্কযুক্ত পরিকল্পিত নির্বাচনী প্রচার।
এই সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি আজ সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিং তালিকায় শীর্ষে আছে। ‘জয় মা কালী’–র ভাষণ, প্রকল্প-ঘোষণা, রাজনৈতিক বিতর্ক—সবকিছু মিলে তৈরি করেছে এক নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার ফ্যুরি, যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এক নতুন দিকে দৃষ্টি রেখেছে।
Add Comment